আফগানিস্তানভিত্তিক আইএস শাখার বিরুদ্ধে তালিবানের সাফল্যের দাবি

কাবুলে এক তালিবান যোদ্ধা ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি কথিত আস্তানা দেখছে। ফাইল ছবি।

সোমবার তালিবান বলেছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার জন্য ইসলামিক স্টেটের একটি আঞ্চলিক শাখার কয়েকজন “গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে” হত্যা ও বন্দী করেছে, সন্দেহভাজনরা পাকিস্তান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ করে তারা।

তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে (স্থানীয়ভাবে দায়েশ নামে পরিচিত)-এর বিরুদ্ধে দাবি ও তথাকথিত সাফল্যের কথা এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

দেশটির তিন নিকটতম প্রতিবেশী এবং রাশিয়া যৌথভাবে গত শুক্রবার আফগানিস্তানের মাটিতে আইএস-কে-সহ আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে “দৃশ্যমান ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ” নিতে কাবুল সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর পর এই দাবি এলো।

তালিবান মুখপাত্র বলেন, আফগান সন্ত্রাসবিরোধী নিরাপত্তা অভিযান থেকে পালিয়ে আইএস-কে বিদ্রোহীরা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় ‘নতুন অপারেশনাল ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ শিবির’ স্থাপন করেছে।

তিনি দাবি করেন, “এই নতুন ঘাঁটি থেকে তারা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে এবং অন্যান্য দেশে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন সম্প্রতি বেলুচিস্তানে দায়েশ খোরাসান প্রশিক্ষণ শিবির থেকে আফগানিস্তানে ফিরে এসেছিল।”

গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কে এক বৈঠকে প্রতিবেশী পাকিস্তান, চীন ও ইরান আফগানিস্তানে আইএস-কে এবং অন্যান্য আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি নির্মূল করার জন্য তালিবানের প্রতি আহ্বান জানানোর দুদিন পরও তালিবানের অভিযোগের বিষয়ে ইসলামাবাদ তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সাম্প্রতিক সুরক্ষা মূল্যায়নে জাতিসংঘ টিটিপি-কে আফগানিস্তানের “বৃহত্তম সন্ত্রাসী গোষ্ঠী” বলে অভিহিত করেছে, যাদের কি না কয়েক হাজার অপারেটিভ রয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, তিন বছর আগে তালিবান ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর থেকে এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানে আন্তঃসীমান্ত হামলা জোরদার করেছে এবং আফগান শাসকদের কাছ থেকে তারা সহায়তা পাচ্ছে। এতে বলা হয়, দেশে আইএস-কে কার্যক্রমও উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।