চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ আর আগুনে ৩ জন নিহত

ফাইল ফটোঃ বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যায়।

সোমবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩ জন মারা গেছেন বলে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানিয়েছেন। তবে কর্মকর্তারা অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

"দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না তবে যতটা সম্ভব পরিবেশ রক্ষার্থে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ যাতে এই তেলবাহী জাহাজের বিস্ফোরণের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কমানো যায়,” আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, নিহতদের একজনকে জাহাজটির ডেক ক্যাডেট সৌরভ হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। তবে অন্য দুজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় নি।

"এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজের তালিকায় ছিলেন ক্যাডেট সৌরভ, ফোরম্যান নুরুল ইসলাম ও ক্যাজুয়াল স্টাফ হারুন। এক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া অন্য দেহাংশগুলো নুরুল ইসলাম কিংবা হারুনের হওয়ার কথা," শিপিং করপোরেশনের নাবিকদের সংগঠন সি ম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদকে উদ্ধৃত করে ঢাকার দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা জানায়।

নোঙ্গর করা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের তেলবাহী জাহাজটির নাম- বাংলার জ্যোতি। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে নোঙ্গর করা ছিল জাহাজটি।

আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী যৌথভাবে আগুন নেভানোর কাজ করে। নৌ কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক বড় বিপদ এড়ানো গেছে।

"পাশেই অনেক বড় তেলের ডিপো ছিল, বাংলাদেশের সমস্ত তেল এখান থেকে যায়, আমরা বড় রকমের বিপদ থেকে মুক্ত হয়েছি,” বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, আগুন লাগার পর শুরুতে ঐ এলাকায় অন্যান্য জাহাজগুলোকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।