যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রবিবার পেনসিলভানিয়ায় এক ভাষণে অবৈধ অভিবাসীদের কঠোর সমালোচনা করেন। এক মাসের মধ্যে এটি তার চতুর্থ প্রচারণা, যা প্রেসিডেন্ট প্রচারণার সবচেয়ে উত্তপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এরিতে প্রায় দুই ঘণ্টার ভাষণে কয়েক শ্রেণির অভিবাসিকে ১০ বারের বেশি ‘হিংস্র’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
যদিও দেশব্যাপী অনিবন্ধিত অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের কোনো তথ্য নেই, তবে গবেষণায় দেখা গেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারীদের চেয়ে বেশি হারে অপরাধ করে না।
ট্রাম্পের ভাষণে নতুন নীতি বিষয়ক বিবরণ ছিল না।
ট্রাম্প মনে করেন, অভিবাসন একটি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মতো প্রচারণা ইস্যু। তিনি বলেছেন, তিনি মনে করেন, অর্থনীতির মতো অন্যান্য প্রধান বিষয়ের চেয়ে অভিবাসন ভোটারদের মনকে বেশি প্রভাবিত করে।
এক পর্যায়ে তিনি পুলিশি নির্যাতনকে প্রশ্রয় দেবেন বলে জানান।
ট্রাম্পের অনেক মিত্র ও উপদেষ্টা মনে করেন, সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই সাতটির মধ্যে পেনসিল্ভানিয়া সবচেয়ে জনবহুল এবং এই অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল কলেজে সবচেয়ে বেশি ভোট রয়েছে, যা প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের বিজয়ী নির্ধারণ করে।
রবিবার ট্রাম্প বলেন, “আমরা যদি পেনসিলভানিয়ায় জয়ী হই, তাহলে আমরাই জিতবো।”
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যে পেনসিলভানিয়ায় বিজ্ঞাপনের জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন, যা অন্য যেকোনো রাজ্যে ব্যয় করা মোট ব্যয় এবং মাথাপিছু ব্যয়ের চেয়েও বেশি।
এরি কাউন্টি পেনসিলভানিয়ার দুটি কাউন্টির মধ্যে একটি যেটি ২০২০ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে যাওয়ার আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এবং ট্রাম্পের পক্ষে ছিল।