সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র‍্যাবকে সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের

ঢাকায় ২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি।

বাংলাদেশে হাই কোর্ট সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‌্যাবকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

হাই কোর্ট একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে ছয় মাস সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে।

হাই কোর্ট ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-এর হাতে মামলাটির তদন্তভার ন্যাস্ত করেছিল। তবে এই আদেশের সংশোধন চেয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে উচ্চ আদালত সোমবারের এই আদেশ দেয়।

এই রিট নিয়ে সোমবার অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনেরাল অনীক আর হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "সরকারকে কতোখানি সাহায্য করার জন্য এই রিট হয়েছিল, আর কতোখানি মামলাটিকে বিলম্বিত করার জন্য, যাতে সত্য কখনো উদঘাটিত হয় না, এই মামলায় সেটি বেড়িয়ে আসবে।"

এর আগে ৮ই সেপ্টেম্বর ১১১তম বারের মতো এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময় পিছিয়েছিল র‍্যাব।

ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। তারা ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। তাদের এক পুত্র সন্তান আছে।

সাগর-রুনি হত্যা মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত এক মামলা, এই হত্যাকাণ্ড ঘটার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের ব্যর্থতার পরে হাইকোর্টের রিটের পরে র‍্যাব দায়িত্ব নিয়েছিল।

মেহেরুন রুনির ভাই মামলার বাদী নওশের রোমান, গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে এবার মামলার সুরাহার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানাচ্ছেঃ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাগর- রুনি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ করা হয়েছে।

শিশির মনির বলেন, "আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করবো।"