চাকরির বয়স বাড়ানোর বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ারগ্যাস, কমিটি গঠন করেছে সরকার

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ। ফটোঃ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চলমান আন্দোলনে সোমবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।

এই ঘটনার পর আন্দোলনের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা সোমবার দুপুরের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে এগোতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিকে সরে যেতে থাকলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার পাশাপাশি অনেকের ওপর লাঠিচার্জও করেছে।

পুলিশ দাবি করেছে, বারবার এলাকা ছাড়ার অনুরোধের পরেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন তারা।

এর আগে অগাস্ট মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল।

সরকারের কমিটি গঠন

সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানান, এই আন্দোলনের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

ড. মুহম্মদ ইউনূস সরকারের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক সচিব আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরীকে এই কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি এই আন্দোলনের দাবির বিষয়ে পরামর্শ দেবে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন বাংলাদেশে প্রায়ই আলোচনায় আসে, অন্তর্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার নতুন করে রাস্তায় নেমেছে আন্দোলনকারীরা।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখ সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনার প্রেক্ষিতে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করার ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।