কানপুরে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি-বিঘ্নিত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে স্বাগতিক ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রানের পাহার না গড়লেও, দ্রুত দলীয় রান সংগ্রহে একের পর এক রেকর্ড ভঙ্গ করে, এবং প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে।
দিনের শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২ ইউকেট হারিয়ে ২৬ রান সংগ্রহ করে। অর্থাৎ তারা ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে ২৬ রান পিছিয়ে আছে, হাতে ৮টি ইউকেট।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অল-আউট হওয়ার পর ভারত ব্যাট করতে নেমে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে। নিয়মিত ইউকেটের পতন হলেও ভারতীয় রান সংগ্রহে কোন ভাটা আসে নাই।
ভারত তাদের প্রথম ইনিংস ৯ ইউকেট হারিয়ে ২৮৫ রানে ডিক্লেয়ার করার পর তাদের স্কোর কার্ড দেখলে মনে হবে এটা ছিল একটি অসাধারণ সীমিত ওভারের খেলা। তাদের ২৮৫ আসে মাত্র ৩৪ ওভার ৪ বলে।
দলের ১০জন প্লেয়ার ব্যাট করতে নামেন এবং তাদের সাত জনের রান রেটই ১০০’র উপরে – যা টি-টোয়েনটি ম্যাচে বেশি শোভা পাবে। শুধুমাত্র রাভিচান্দ্রান আশ্বিন-এর রান রেট ৫০-এর ঊর্ধ্বে যেতে ব্যর্থ হয়।
প্রথমে উদ্বোধনী জুটি ইয়াশাসভি জেইসওয়াল এবং অধিনায়ক রহিত শর্মা টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম দলীয় ৫০ রান সংগ্রহ করেন। ভারতের সাইক্লোন গতির রান সংগ্রহ সেখানেই থামেনি।
এর পরে আসে টেস্টে দ্রুততম দলীয় ১০০’র রেকর্ড। তারপর দ্রুততম ১৫০, ২০০ এবং ২৫০ দলীয় রানের রেকর্ড।
জেইসওয়াল (৫১ বলে ৭২), কেএল রাহুল (৪৩ বলে ৬৮) এবং ভিরাট কোহলি (৩৫ বলে ৪৭) ভারতের ইনিংসে গতি এবং রান সংগ্রহ, দুটোই বজায় রাখতে সহায়তা করেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ (৬ ওভারে ৬৬ রানের বিনিময়ে ১ ইউকেট) এবং খালেদ আহমেদ (৪ ওভারে ৪৩ রানের বিনিময়ে ০ উইকেট) ভারতের ব্যাটিং ঝড়ের ঝাপটা সবচেয়ে বেশি পান।
তবে সাফল্য দেখেন দুই স্পিনার, সাকিব আল-হাসান এবং মেহদি হাসান মিরাজ, যারা দুজনই ৪টি করে উইকেট দখল করেন।
কানপুর টেস্ট শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বের) শুরু হয় কিন্তু ৩৫ ওভার খেলার পর আলোর ওভাবে আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করেন। বাংলাদেশ প্রথম দিনে ৩ ইউকেটে ১০৭ রান সংগ্রহ করে।
বৃষ্টির পর মাঠ ভেজা থাকার কারণে শনিবার এবং রবিবার কোন খেলা হয় নি।
ভারত দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে আছে। চেন্নাইতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৮০ রানে পরাজিত করে ভারত।