যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী রবিবার জানিয়েছে, সিরিয়ায় দুটি বিমান হামলায় ৩৭ জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। এই জঙ্গিরা উগ্রবাদী ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী ও আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তারা আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুইজন সিনিয়র জঙ্গি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, তারা মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত হুরাস আল-দ্বীন গোষ্ঠীর এক সিনিয়র জঙ্গি ও আরও আটজন। তারা বলছে, এই সিনিয়র জঙ্গি সামরিক অভিযান ও কার্যকলাপ দেখভালের দায়িত্বে ছিল ।
তারা ১৬ সেপ্টেম্বরে আরও একটি হামলার কথা ঘোষণা করেছে যেখানে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে এক প্রত্যন্ত ও অজ্ঞাত জায়গায় আইএসের এক প্রশিক্ষণ শিবিরে “পূর্ণমাত্রার বিমান হামলা” চালানো হয়েছে। এই হামলায় “কমপক্ষে চারজন সিরীয় নেতা”সহ ২৮ জন জঙ্গি নিহত হয়।
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ, সেই সঙ্গে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের বিরুদ্ধে আইসিসের অভিযান পরিচালনার সক্ষমতাকে ব্যাহত করবে।”
সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সৈন্য এবং অজ্ঞাত সংখ্যক প্রাইভেট ভাড়াটে সৈন্য আছে। তারা মূলত উগ্রবাদী আইএস গোষ্ঠীর কোনও রকম প্রত্যাবর্তনকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছেন।
আইসিস ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে এই ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের প্রধান মিত্রদের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে। এই মিত্রদের মধ্যে রয়েছে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস।
ভূ-রাজনৈতিকভাবে কৌশলগত এলাকাগুলি যেখানে ইরানের সাহায্যপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি উপস্থিত রয়েছে, সেখান থেকে এই বাহিনীর অবস্থান দূরে নয়, যার মধ্যে রয়েছে ইরাকের সঙ্গে একটি প্রধান সীমান্ত ক্রসিং।