শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, সামনের দিনগুলোতে লেবাননের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। ওয়াশিংটন সতর্ক করে দিয়েছে, উত্তেজনা আরও বাড়লে উভয় পক্ষের বেসামরিক নাগরিকদের ঘরে ফেরা কঠিন হয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতির জন্য বিশ্বব্যাপী আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং লেবাননে বিমান হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে ও আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
লেবাননের মেয়র মোহাম্মদ সাব রয়টার্সকে জানান, শুক্রবার লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর শেবায় ইসরায়েলি হামলায় চার শিশুসহ একই পরিবারের নয়জন নিহত হয়েছেন। লেবাননে সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হিজবুল্লাহ জানায়, শুক্রবার সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হাইফা শহর ও তিবেরিয়াস শহরের কাছে কিরিয়াত আতা এলাকায় তারা রকেট নিক্ষেপ করেছে। তারা জানায় তাদের গ্রামে,শহরে, বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রত্যুত্তরে তারা এ হামলা চালায়।
শুক্রবার নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলি দলগুলো বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেছে এবং সামনের দিনগুলোতে আলোচনা চালিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
ইসরায়েল বলছে, তাদের অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে গত এক বছরে লেবানন সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া হাজার হাজার ইসরায়েলিকে ফিরিয়ে আনা।
গত ৮ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হলে ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি ঘোষণা করে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শেষ হলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতি দেবে।
লেবাননে চলতি সপ্তাহে ৯০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েলকে বলেন, উত্তেজনা আরও বাড়লে সীমান্তের উভয় পাশে বেসামরিক নাগরিকদের ঘরে ফেরা কঠিন হয়ে পড়বে।