ইউক্রেনকে ৮০০ কোটি ডলার সাহায্য দেবার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের ক্রামাটর্স্কে রুশ হামলার পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে এক আহত বয়স্কা নারীকে বের করে আনতে সাহায্য করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ফটোঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্র নতুনভাবে ইউক্রেনকে ৮০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বৈঠকের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে হোয়াইট হাউসে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এর মধ্যে রয়েছে একটি ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি ও ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশপথ থেকে স্থলভাগে আক্রমণের জন্য যুদ্ধাস্ত্র এবং ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লা দিতে পারে এমন নির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রিত গ্লাইড বোমা।

ইউক্রেনের এফ-১৬ পাইলটদের জন্য প্রশিক্ষণ সম্প্রসারিত করছে যুক্তরাষ্ট্র যাতে আগামী বছর আরও ১৮ জন পাইলটকে নিযুক্ত করা যায়।

বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র প্রায় তিন বছর ধরে ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়াতে গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করেছে কেননা তারা রুশ আগ্রাসন থেকে নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষা করছে এবং ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা আমার প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থেকেছে।”

জেলেন্সকি দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, নতুন সাহায্যের মধ্যে “এমন সামগ্রী রয়েছে যা আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

জেলেন্সকি এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বলেছেন, “আমাদের প্রধান সাধারণ লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা এই সাহায্যকে সবচেয়ে কার্যকরী ও স্বচ্ছভাবে ব্যবহার করবো। (আমাদের প্রধান লক্ষ্য) ইউক্রেনের বিজয়, ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও ট্রান্সআটলান্টিক নিরাপত্তা।”

জেলেন্সকি বলেছেন, বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে তিনি ও বাইডেন কথা বলেছেন। এই সময় জেলেন্সকি বাইডেনকে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে আপডেট দিয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড হস্তান্তর করতে ইউক্রেনের নেতাদের চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিয়েছেন বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। তাই, ইউক্রেনের পরিস্থিতির জন্য তাদের ত্রুটিই দায়ী।

ট্রাম্প বলেছেন, “জেলেন্সকিকে অর্থ ও অস্ত্র জুগিয়ে এমনটা ঘটতে দিয়েছেন বাইডেন ও কমালা। এমনটা কোনও দেশ আগে দেখেনি।”

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে বোঝাপড়ার জন্য ইউক্রেনের এখন কী অবস্থান রয়েছে।