থাইল্যান্ডের যুগান্তকারী বিবাহ সমতা বিল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত করা হয়েছে, যার ফলে একই লিঙ্গের দম্পতি আইনসম্মত ভাবে বিয়ে করতে পারবে।
রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন অনুমোদন দেয়ার পর আইনটি রাজকীয় গেজেটে প্রকাশ করা হয়, এবং তা আর ১২০ দিন পর কার্যকর হবে। এর ফলে, আগামী বছর জানুয়ারি থেকে সমকামী দম্পতিরা বিয়ের জন্য রেজিস্টার করতে পারবে।
এশিয়াতে তাইওয়ান আর নেপালের পর থাইল্যান্ড হবে তৃতীয় দেশ যেখানে সমকামী বিয়ের অনুমতি দেয়া হবে।
এই আইন যে কোন লিঙ্গের বিবাহ সঙ্গীদের জন্য পূর্ণ আইনগত, আর্থিক এবং মেডিকেল অধিকার নিশ্চিত করবে। বিলটি এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডের হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভ এবং জুন মাসে সেনেটে সহজেই পাস হয়।
“সবার ভালবাসার জন্য অভিনন্দন,” প্রধানমন্ত্রী পেয়টোংটান শিনাওায়াত সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লেখেন। তিনি তাঁর পোষ্টে হ্যাশট্যাগ #লাভউইন্স ব্যবহার করেন।
সমাজের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য থাইল্যান্ডের নাম-ডাক আছে। কিন্তু তারা অনেক দশক ধরে বিবাহে সমতা আইন প্রণয়ন করতে পারছিল না।
থাই সমাজের মূল্যবোধ মূলত রক্ষণশীল, এবং সমকামী আর বৃহৎ এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষ বলেন যে তারা দৈনন্দিন জীবনে বৈষম্যর শিকার হন।
সরকার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোও ঐতিহাসিকভাবে রক্ষণশীল। আইন প্রণেতা এবং আমলাদের পরিবর্তন গ্রহণ করার জন্য লিঙ্গ সমতার পক্ষে প্রচারকারীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
ব্যাংককের ডেপুটি গভর্নর সানন ওয়াংস্রাবুন গত সপ্তাহে বলেন যে, আইন কার্যকর হওয়া মাত্র নগর কর্মকর্তারা সমকামী বিয়ে রেজিস্টার করতে প্রস্তুত থাকবে।
এই আইন দেশের সিভিল অ্যান্ড কমার্শিয়াল কোড-এ “নারী ও পুরুষ” শব্দের পরিবর্তে “ব্যক্তি” শব্দ ব্যবহার করার বিধান রেখেছে।
ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার বিবাহ সমতাকে তাদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর অন্যতম হিসেবে গ্রহণ করেছে। তারা জুন মাসে ব্যাংককে সমকামী আর এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের উৎসব 'প্রাইড প্যারেড’-এর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে।
ব্যাংকক প্রাইড প্যারেড-এর আয়োজকরা ফেসবুকে ঘোষণা দেন যে, আইন কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনেই যেসব দম্পতি রেজিস্টার করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য তারা বিয়ের আয়োজন করবে।