ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রবিবার নজিরবিহীন কড়া নিরাপত্তা বলয়ে পেনসিলভেনিয়ায় অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছেন। তার দেশের রাশিয়ার স্থল বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র উৎপাদন করছে এই কারখানা।
যুক্তরাষ্ট্রে একটা ব্যস্ত সপ্তাহের সূচনা করেছে স্ক্র্যান্টন আর্মি অ্যামিউনিশন প্ল্যান্টে তার এই সফর। যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন বৃদ্ধি করাই এর লক্ষ্য। তিনি মঙ্গলবার ও বুধবার নিউ ইয়র্কে আয়োজিত জাতিসংঘের সাধারণ মহাসভার বার্ষিক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। তারপর তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের সাথে বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যাবেন।
রবিবার বিকালে জেলেন্সকির বিশাল গাড়িবহর যখন অস্ত্র কারখানার দিকে যাচ্ছিল তখন সমর্থকদের একটা ছোট দল কাছেই সমবেত হয়ে ইউক্রেনের পতাকা উড়িয়েছে। কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে জেলেন্সকির এই সফরকে সাধুবাদ জানাতেই তারা সেখানে হাজির হয়েছিলেন।
অস্ত্র কারখানার আশপাশের এলাকা সকাল থেকে ঘিরে রাখা হয়েছিল। পৌরসভার আবর্জনার ট্রাক বেশ কয়েকটি রাস্তার মোড়ে রাখা ছিল। ঘোড়সওয়ার বাহিনীসহ নাগরিক, আঞ্চলিক ও রাজ্য পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতিও ছিল।
স্ক্র্যান্টন কারখানা সে দেশের কয়েকটি স্থাপনার অন্যতম যেখানে কামানের ১৫৫ মিলিমিটার গোলা তৈরি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে এখানে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
হাওইটজার ২০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। নিরাপদ দূরত্ব থেকে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য স্থল বাহিনীতে এর মূল্য অপরিসীম।
ইউক্রেন ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ লক্ষের বেশি ১৫৫ মিলিমিটার গোলা পেয়েছে।
৬০ বছর বয়সী ল্যারিসা সালাক, যার বাবা-মা ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছেন, তিনিও বলেছেন, জেলেন্সকি কর্মীদের ধন্যবাদ দিতে আসায় তিনি খুশি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, ইউক্রেন তাদের দেশে উৎপাদিত ড্রোন দিয়ে মস্কোকে এখনই আঘাত করতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের প্রভাব নিয়ে দ্বিধা রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নেটো মিত্ররা যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে রাশিয়া তাদের সঙ্গে “যুদ্ধে” লিপ্ত হবে।