গাজা সিটিতে ইসরায়েলি আক্রমণে নিহত ২২;সামরিক বাহিনী বলছে লক্ষ্য ছিল হামাস

গাজা সিটিতে বাস্তুচ্যূতদের আশ্রয় নেওয়া স্কুলে ইসরায়েলি আক্রমণে নিহত এক শিশুর মা কাঁদছেন। ২১ সেপ্টেম্বর,২০২৪।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি স্কুলের উপর ইসরায়েলি আক্রমণে ২২ জন নিহত হয়েছেন তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা এটিকে হামাসের একটি কমান্ড কেন্দ্র হিসেবে লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে। এটি এক সময়ে স্কুল ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজা সিটির জেইতুন এলাকার এক স্কুলের উপর আক্রমণে ৩০ জন আহত হন। তারা বলছে হতাহতের মধ্যে অধিকাংশ জনই শিশু ও নারী। তবে এটা পরিস্কার ভাবে জানা যায়নি যে হতাহতদের কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভবনটির ছাদ ধসে পড়ে, দেয়াল ভেঙ্গে যায় এবং তার ও ধাতব রডগুলি দেখা যাচ্ছিল। শিশুরাসহ বহু লোক ভবনটির ধ্বংসাবশেষ পেরিয়ে বেরিয়ে আসেন। বাইরে অনেকেই আবৃত মরদেহের পাশে সমবেত হন। কেউ কেউ, যাঁদের স্বজনেরা এই আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন, মুখ ঢেকে কাঁদছিলেন।

বাস্তুচ্যূত এক ব্যক্তি ফেরিয়াল দেলৌল বলেন, “ একটি ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আঘাত হানে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রও। আমরা দেখলাম যেন গোটা পৃথিবীটা ধোঁয়া ও পাথরে ছেয়ে গেছে, আমরা দেখলাম শিশুদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হতে .... আমরা কি করবো ? এ রকম হওয়ার আমাদের দোষটা কোথায়?

শনিবার দিনে আরও আগের দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলে যে তারা হামাসের, “ কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টারে আঘাত হানে যা সেই প্রাঙ্গণের মধ্যেই ছিল যা এর আগে” একটি স্কুল ছিল। তারা বলে বেসামরিক লোকদের ক্ষতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, যেমন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা অস্ত্র এবং বিমানের ম াধ্যমে নজরদারি।

গাজা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন কর্মী নিহত, জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ইসরায়েলের গুলিতে তাদের ৫ জন কর্মী নিহত এবং আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এই আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলের মুসবাহেএলাকায়।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে , ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বহু স্কুলের উপর আঘাত হেনেছে যেখানে ইসরায়েলি আক্রমণ এবং অন্যত্র সরে যেতে তাদের নির্দেশের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে হাজার হাজার লোক আশ্রয় নেয়। এই সংঘাতের কারণে গাজায় ৯০% ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যূত হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সামরিক বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা গাজায় স্কুল, জাতিসংঘের স্থাপনা ও হাসপাতালের মতো বেসামরিক অবকাঠামোর ভেতর থেকে তাদের তত্পরতা চালিয়ে থাকে।

হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইইউ ও অন্যরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে।