ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজা ভূখণ্ডে রাতের মধ্যে ইসরায়েলি একাধিক হামলায় ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে গাজা সিটিতে একটি পরিবারের বাসভবনে বিমান হামলা চালানোর ফলে ছয়জন মারা গেছে। এদের মধ্যে কতজন শিশু রয়েছে তা অজ্ঞাত। গাজা সিটির রাস্তায় একদল লোকের উপর হামলা হয়েছে এবং এই ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েল বলছে তারা শুধুমাত্র জঙ্গিদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, আবাসিক এলাকা থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বেসামরিক নাগরিকদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, এই বাহিনী পৃথক হামলা নিয়ে বেশিরভাগ সময় মন্তব্য করে না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবরে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে নিহত যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিকদের সংখ্যা আলাদা করেনি মন্ত্রণালয়, তবে তারা বলছে নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
ইসরায়েল বলছে, তারা ১৭ হাজারের বেশি জঙ্গিকে হত্যা করেছে। তবে, এই দাবির সাপেক্ষে তারা কোনও তথ্য-প্রমাণ দেয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চলমান যুদ্ধের “নতুন পর্যায়” উপস্থিত হয়েছে বলে ঘোষণার পর লেবাননের হেজবুল্লাহর নেতা তাদের যোগাযোগ ডিভাইসে প্রাণঘাতি হামলার জবাবে প্রত্যাঘাতের প্রতিশ্রুতি দেন।
নাগরিক প্রতিরক্ষা বলেছে, গাজা সিটির উত্তরে বেইত হানুনে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি হামলার ফলে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
গাজা সিটির মধ্যাঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাতে একটি বাড়িতে হামলার ফলে আরও ছয়জন মারা গেছে। গাজা সিটির উত্তরে বেইত লাহিয়াতে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
এই যুদ্ধের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং গাজার ২৩ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই এখন বাস্তুচ্যুত।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।