খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যজনিত কারণে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না, জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ

সাংবাদিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিমানে করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে শারীরিকভাবে সুস্থ নন।

এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তবে আকাশ পথে দীর্ঘসময় ভ্রমণের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হলে খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জাহিদ হোসেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

জাহিদ হোসেন আরও বলেন, “ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার, তবে সেজন্য তাঁকে অবশ্যই ফিট হতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে।”

জাহিদ আরও বলেন, “ম্যাডামকে মাঝে মাঝে সুস্থ মনে হলেও তিনি দ্রুত আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর হার্ট, লিভার ও কিডনির সমস্যার কারণে উড়াল পথ ব্যবহারে যে শারীরিক চাপ সেটি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তিনি ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টার যাত্রা করার জন্য যথেষ্ট স্থিতিশীল নন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।”

তিনি বলেন, “এমনকি তাঁর অবস্থার সামান্য ওঠানামাও বেশ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।”

জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কেননা সামান্য সমস্যা তাঁর শরীরে থাকা জটিলতাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “ম্যাডাম শারীরিকভাবে স্থিতিশীল হলে যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা তাঁর (বিদেশে) চিকিৎসার ব্যাপারে আশাবাদী এবং যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।”

জাহিদ হোসেন জানান, তার স্বাস্থ্য ও সর্বশেষ মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

১১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করেন।

দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।