হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকার হেজবোল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত পেজারে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ইসরায়েলকে দায় দিয়েছে। এই হামলায় মঙ্গলবার অন্তত ১২ জন নিহত ও আরও দুই হাজার ৮০০ মানুষ আহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহ বুধবার বলছে, তারা গাজায় হামাস যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে। ইসরায়েলের জন্য “কঠোর শাস্তি” অপেক্ষা করছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। ইসরায়েলি সরকার গাজায় হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের লক্ষ্যমাত্রা সম্প্রসারণ করার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এই ঘটনা ঘটে। পরিবর্ধিত লক্ষ্যমাত্রায় ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের মাঝে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহর কাছে পাঠানোর আগে এই পেজারগুলোতে অল্প পরিমাণে বিস্ফোরক যোগ করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দাবাহিনী হিজবুল্লাহর যোগাযোগে আড়ি পাততে পারে, এই আশংকায় এই সংগঠনের নেতা মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়ার পর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় এই ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার পর বুধবার এই অঞ্চলে যাতে সংঘাত আর বাড়তে না পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
ইইউ পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বরেল চলমান পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত উদ্বেগজনক” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তিনি লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদাল্লাহ বৌ হাবিবের সঙ্গে ফোন কলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মস্কোতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বুধবার বলেন, লেবাননে যা হয়েছে, তা “নিশ্চিতভাবেই এ অঞ্চলের অস্থিরতার বাড়াতে যাচ্ছে”।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের মঙ্গলবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র “আগে থেকে এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না” এবং এখনো তারা “তথ্য জোগাড় করছে”।
ভয়েস অফ আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যুরো প্রধান নাইকি চিং মূল প্রতিবেদনে কাজ করেছেন।