ইসরায়েল বলছে, হেজবুল্লাহর আক্রমণ রোখা এখন যুদ্ধের অংশ

উত্তর ইসরায়েল থেকে নেওয়া ছবিতে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম খিয়ামের আকাশ (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)

মঙ্গলবার ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। ঘোষণা মতে, ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হেজবুল্লাহ’র জঙ্গিদের সংঘাতের কারণে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে বাস্তুচ্যুত উত্তর ইসরায়েলি জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনাকে যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলছে, নিরাপত্তা ক্যাবিনেট সোমবার এই উদ্যোগের অনুমোদন দিয়েছে।

হামাসের মিত্র হেজবুল্লাহ গাজার যুদ্ধ শুরুর অল্প সময় পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে। হামাসের পাশাপাশি হেজবুল্লাহকেও সমর্থন দেয় ইরান। হেজবুল্লাহ বলছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হলে তারা হামলা বন্ধ করবে।

তবে বেশ কয়েক মাস ধরে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চললেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা এমন কিছু শর্ত খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যা ইসরায়েল ও হামাস উভয়ের কাছেই গ্রহণযোগ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মিসর যাচ্ছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সংশোধিত প্রস্তাব উপস্থাপনের চেষ্টা চালাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, বিশেষত, মিসর ও কাতারের সঙ্গে, যাতে এমন একটি প্রস্তাব তৈরি করা যায় যা সবার কাছে চূড়ান্ত ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে উপনীত হয়।”

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস, যার ফলে চলমান যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলি পাল্টা হামলায় গাজায় ৪১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের মতে, মৃতদের মধ্যে হাজার হাজার জঙ্গি যোদ্ধাও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

ভয়েস অফ আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়ক ব্যুরো প্রধান নাইকি চিং, জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারেট বেশির, কিম লুইস ও নাতাশা মজগোভায়া মূল প্রতিবেদনে কাজ করেছেন।