ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সোমবার ভোরে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হেজবুল্লাহের ২০টি লঞ্চার ও সামরিক অবকাঠামোস্থলে হামলা চালিয়েছে।
হামাস-পরিচালিত সরকারের অধীন কর্মরত কয়েকজন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে বিমান হামলা হওয়ায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছে। গাজা সিটির একটি বাড়িতে হামলার ফলে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে চারজন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আপার গালিলি এলাকায় সাইরেন বাজার পর লেবাননের দিক থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দুটি সন্দেহজনক রকেট উড়ে আসে এবং গোলান হাইটসের উত্তরাঞ্চলে পতিত হয়।
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জারমাক এলাকায় “প্রায় ২০টি হেজবুল্লাহর লঞ্চার ও সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। এগুলি তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হুমকি তৈরি করেছিল।”
রবিবার সকালে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, লেবানন থেকে প্রায় ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের গালিলি অঞ্চলে নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং গোলান হাইটস দখল করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার বলেছেন, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি ভাল নয়। উল্লেখ্য, এই সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তিনি বলেন, “বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে না। আমাদের বাসিন্দাদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে আমরা সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং এটি ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে একটি ফাঁকা জায়গায় পড়ে; এর ফলে তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান সতর্কতা জারি করা হয়। এই ঘটনার পর রবিবার আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যাঘাতের অঙ্গীকার করে বলেছেন, হুথিদের “ইতোমধ্যেই জানা উচিত ছিল, আমাদের ক্ষতি করার কোনও রকম চেষ্টা করলে তার ভারী মূল্য দিতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।