আফগানিস্তানে ১৪ জন শিয়া মুসলিমকে হত্যা, হামলার দায় নিয়েছে আইএস

আফগাইনস্তানের মানচিত্র

আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন শুক্রবার নিশ্চিত করেছে, সে দেশের মধ্যপ্রদেশে রাতের মধ্যে হামলায় বন্দুকধারীরা কমপক্ষে ১৪ জন শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিকে হত্যা ও আরও ছয়জনকে আহত করেছে। ইসলামিক স্টেটের এক স্থানীয় শাখা এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে।

তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ দায়কুন্ডি প্রদেশে আফগান বেসামরিক নাগরিকদের উপর এই হামলাকে “বর্বরোচিত কাজ” বলে নিন্দা করে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বলেছেন, “এই ঘটনায় যারা শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আমরা অপরাধীদের ধরতে ও তাদের জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করার জন্য প্রবল চেষ্টা করছি।”

ইসলামিক স্টেট তাদের আমাক সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে বলেছে, তাদের আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে নামেও পরিচিত) “সৈন্যরা” এই গুলি চালানোর পিছনে রয়েছে। তাদের দাবি, “১৫ জন শিয়া (মুসলিমকে) হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ছয়জন আহত।”

দায়কুন্ডির বাসিন্দারা বলেছেন, ইরাকে শিয়াদের পবিত্র স্থান কারবালা থেকে ফিরতি তীর্থযাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে ভুক্তভোগীরা সমবেত হয়েছিলেন।

আফগান মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড বেনেট বৃহস্পতিবারের এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন।

বেনেট শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “গতকালের #দায়কুন্ডিতে আইএসকেপির দায় নেওয়া #হাজারাদের সাংঘাতিক হত্যা আন্তর্জাতিক অপরাধের চিহ্ন বহন করছে। আইএসকেপির দাবী করা হামলার তীব্রতা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও (আন্তর্জাতিক) জবাবদিহিতা দরকার #আফগানিস্তান।”

তিন বছর আগে তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা পুনর্দখল করে এবং তারা বলছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা অভিযান সে দেশে আইএস-কে-কে “প্রায় নিশ্চিহ্ন” করে দিয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ও সম্প্রতি জাতিসংঘের একাধিক প্রতিবেদন তাদের এই দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে এবং আইএস-কে-কে এই অঞ্চল ও তার বাইরে এক ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদী হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।