রাশিয়ার ভেতরে আক্রমণে ক্ষেপণাস্ত্র বিধিনিষেধ পুনর্বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের কোনটেপ শহরে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করছেন একজন পুলিশ অফিসার। ফটোঃ ১২ সেপ্টেম্বর,২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলা চালানোর জন্য মস্কো যে অস্ত্র মোতায়েন করেছে তা ধ্বংস করতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার আরও গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের অনুমতি দেয়া হতে পারে।

ওয়ারশতে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে রক্ষার জন্য ইউক্রেনের হাতে থাকা উপায়গুলোসহ আমরা আরও কিছু ব্যবহারের অনুমোদন দেবো।” তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ‘সবসময়’ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নেবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বৃহস্পতিবার বলেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আরও গভীরে আঘাত হানার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদের দ্বিধার সুযোগ নিচ্ছে মস্কো।

জেলেন্সকি বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় বিলম্বের ফলে রাশিয়া এসব সামরিক লক্ষ্য বস্তু রাশিয়ার আরও গভীরে নিয়ে যাচ্ছে।”

মস্কোতে ড্রোন হামলা

ইউক্রেনকে সমর্থনকারী যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে চলমান ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের শর্ত দিয়েছে যে, তারা রাশিয়ার আরও গভীরে আক্রমণ করতে পারবে না। তাদের আশঙ্কা এরকম হলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ৩০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়ার যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হবে।

ইউক্রেন মস্কোকে ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছে এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি লক্ষ্যবস্তুতে গোলাবর্ষণ করেছে। তবে জেলেন্সকি বার বার দাবি করেছেন, তার পশ্চিমা মিত্ররা যাতে কিয়েভকে রাশিয়া যেখানে ইউক্রেনীয় অঞ্চলে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ করছে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার অনুমতি দেয়।

আগস্টের প্রথম দিকে শুরু হওয়া অতর্কিত হামলায় কিয়েভের বাহিনীর রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলিয় কুরস্ক অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা দখল করে। কিন্তু সেগুলো পুনর্দখলের আগ্রাসী চেষ্টা করার পরিবর্তে রাশিয়া গত পাঁচ সপ্তাহে ইউক্রেনে তাদের বোমাবর্ষণ বৃদ্ধি করেছে।

ব্লিংকেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি যুদ্ধের পরিস্থিতি এবং তাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন সম্পর্কে কিয়েভে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করার একদিন পরে বৃহস্পতিবার ব্লিংকেন পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লো সিকোরস্কির সাথে কথা বলেছেন।