গাজায় বুধবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া জাতিসংঘের একটি স্কুলে ও দুটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১৯ জন নারী ও শিশুসহ ৩৪ জন মানুষ নিহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
বুধবার বিকেলে গাজায় মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের আল-জাওনি প্রিপারেটরি বয়েজ স্কুলে সবচেয়ে মারাত্মক হামলায় ১৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, স্কুলের ভেতর থেকে হামলার পরিকল্পনাকারী হামাস জঙ্গিদের ওপর হামলা চালানোই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
স্কুলটিতে হামলায় নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ’র ছয়জন কর্মীও রয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের স্কুলে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “গাজায় যা ঘটছে তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য… আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের এই নাটকীয় লঙ্ঘন এখনই বন্ধ হওয়া দরকার।”
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউএনআরডব্লিউএ’র অন্তত ২২০ জন কর্মী নিহত হয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক কর্মী নিহত হওয়ার কথা ইসরায়েল স্বীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার ইসরায়েলকে এই অঞ্চলে তার কর্মকাণ্ডে ‘মৌলিক পরিবর্তন’ আনার আহ্বান জানান।
তুর্কি আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্ট আয়সেনুর এজগি ইগির হত্যাকাণ্ডকে “বিনা প্ররোচনায় ও অযৌক্তিক” বলে অভিহিত করেছেন ব্লিংকেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে “দুর্ঘটনা” বলে অভিহিত করেছেন। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস বলেন, “আয়সেনুর আইগির হত্যাকাণ্ড একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। এটি কখনোই হওয়া উচিত ছিল না।”
মঙ্গলবার ব্লিংকেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব গাজায় সংঘাত অবসানে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবশিষ্ট ফাঁকফোকর দূর করতে যুক্তরাষ্ট্র কাতার ও মিশরের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।