বুধবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশটির একাধিক অঞ্চলে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এ সময় ইউক্রেন ২৫টির মধ্যে ২০টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।
চেরকাসি, নিপ্রোপেত্রভস্ক, খেরসন, কিয়েভ, পোলতাভা ও সুমি অঞ্চলে এই ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে তারা বেলগোরোদ অঞ্চলে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এসব সংঘাত এমন সময় ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইউক্রেন সফরে গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সরবরাহ করা দূর পাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে পারে।
রুশ ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত হানতে পারে, এমন অস্ত্র দিতে বা ইউক্রেনকে ব্যবহারের অনুমতি দিতে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত, যুদ্ধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এই মনোভাব দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ব্লিংকেন স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে।
ব্লিংকেন বলেন, “এই সম্ভাবনাকে আমরা কখনোই বাতিল করিনি। কিন্তু আমরা যখন এই সিদ্ধান্ত নেব, তখন নিশ্চিত করতে চাই যে এটা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে তা ইউক্রেনের লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি মঙ্গলবার তার দৈনিক বক্তব্যে বলেন, ইউক্রেনের “সবচেয়ে প্রাধান্যের বিষয়টি হলো শুধুই শান্তি, এবং প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিটি ড্রোন এবং সব ধরনের শত্রুভাবাপন্ন পদক্ষেপ, এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার প্রতিটি প্রচেষ্টা এবং আরও সহিংসতার সমুচিত জবাব দেবে সমগ্র বিশ্ব, যা অনিবার্য।”
তিনি বলছেন, ইউক্রেন “নিশ্চিত করবে যেন সারা পৃথিবী এ বিষয়টিতে একাত্ম থাকে—ব্যাপারটা যত জটিলই হোক না কেন।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।