যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কৌতুহল ও উদ্বেগ নিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে। এতে বাকি বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহ ফুটে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বেশ কয়েকটি প্রচারণা প্রত্যক্ষ করেছেন এমন কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলার সময় তারা আলোচনার উন্মুক্ততা এবং এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্যের মাত্রার কথা বলেন।
সিরিয়ার মুসবাহ শাহিন ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়াশোনার জন্য ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শাহীন বলেন, প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তার কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছিল।
তিনি বলেন, “২০১৬ সালে আমি প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন দেখি। সে সময় বুঝতেও পারিনি যে, আমি একটি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করছি- যে অভিজ্ঞতা আমার ২০২০ সালে হয়েছিল।” “[ইউনাইটেড] স্টেটসের রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে আমার মিথস্ক্রিয়ার ফলে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।”
তিনি বলেন, সিরিয়ায় রাজনৈতিক আলোচনা প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া হয়।
সিরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি যে উন্মুক্ত রাজনৈতিক ডিসকোর্সের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেটির ব্যাপক তফাত আছে।
“যুক্তরাষ্ট্রে জনগণ অনেক সময় মনে করে, তাদের কথা শোনা হচ্ছে না। তবে আমি একসময় সত্য কথা বলার ভয় প্রত্যক্ষ করে এসেছি। এই দেশে এমনভাবে আলোচনা ও বিতর্কের অবকাশ রয়েছে যা আমি সিরিয়ায় থাকাকালীন পাইনি।”
ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এবং ওয়াশিংটনের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র রোহান নাভাল একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেন।
নাভাল যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রচারণার অনিশ্চয়তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “গত দুই মাসে আমরা যা কিছু দেখেছি তা খুবই বিস্ময়কর, যেমন ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা। এরপর কী হবে তা অনুমান করা কঠিন।”
বিশেষ করে মাত্র একটি বিতর্কে অংশ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত।
আমেরিকান কলেজ অফ গ্রিস থেকে সদ্য স্নাতক ভিক্টোরিয়া চারালামপিদি ২০২২ সালের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের লয়োলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি যখন এখানে আসি, তখন জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, আমি তার প্রেসিডেন্সিকে ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে দূরে সরে যাওয়া হিসেবে দেখেছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিগুলোর কিছু ইতিবাচক প্রভাব ছিল। তবে তিনি ভেবেছিলেন, রাজনীতিতে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়শই বাইডেনের তুলনায় বেশি বিভাজনমূলক ছিল।
চারালামপিদি বলেন, তিনি বৈচিত্র্যময় জাতি শাসনের জটিলতা নিয়ে বেশ কৌতুহলী।
তিনি বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান রাজনৈতিক প্রচারণা নিয়ে হতাশ। তার বক্তব্য, রাজনীতি আরও মেরুকৃত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।