গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলছে, দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডের এক মানবিক অঞ্চলে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত ও আরও ৬০ জন আহত হয়েছেন।
বালু ও ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়ে থাকা সব মানুষের কাছে এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেনি, বলছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে সিভিল ডিফেন্স এই হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জানালেও প্রকৃতপক্ষে নিহত হয় আরো অনেক কম মানুষ।
প্রাথমিক ভাবে দেওয়া নিহতের সংখ্যা মেনে নেয়নি ইসরায়েল। তারা হতাহতের জন্য হামাসকে দায়ী করে জানায়, সশস্ত্র সংগঠনটি মানবিক এলাকায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
খান ইউনিসের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত মাওয়াসি এলাকায় এই হামলা ঘটে। ইসরায়েল ও জঙ্গি সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত এড়াতে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে অসংখ্য ফিলিস্তিনি পালিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ হামাস যোদ্ধার বিরুদ্ধে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। অক্টোবরে হামাসের যে হামলার মাধ্যমে চলমান যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, সেই হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এমন কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার তাদের অন্যতম, দাবি ইসরায়েলের।
হামাস এক বিবৃতিতে এই এলাকায় তাদের কোনো যোদ্ধার উপস্থিতি অস্বীকার করেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ সময় ২৫০ ব্যক্তিকে জিম্মি করে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েক হাজার জঙ্গি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর বেশ কয়েক মাস ধরে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি চালুর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সেই আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।