রাশিয়ার অন্যতম সব চেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণে যারা নিহত হন, তাদের যখন ইউক্রেন সমাহিত করছে তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বলেছে যে রাশিয়ার সঙ্গে এই সংঘাতের সময়ে ইউক্রেনের প্রতি তাদের চরমান সমর্থন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ইউক্রেনের একটি সামরিক প্রশিক্ষণ স্থাপনায় এবং নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হ্ওয়ায় শত শত ইউক্রেনবাসী এবং তাদের স্বজনরা সজল চোখে পলতাভা শহরে ক্যাথেড্রল অফ এজাম্পশানে সমবেত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। ওই ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ আহত হন।
শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমি জেলেন্সকি বলেন মঙ্গলবার পলতাভার ওই আক্রমণে ৫৫ জন নিহত এবং ৩২৮ জন আহত হন।
ইতালির মিলান শহরের অদূরে একটি সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময়ে জেলেন্সকি বলেন, “ এই লোকগুলির মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের আঘাত গুরুতর , যেমন তাদের হাত-পা কেটে গেছে এবং শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পশ্চিমি মিত্রদের পাঠানো অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞায় হতাশ জেলেন্সকি বলেন ইউক্রেন নিজেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। শেষ অবধি পুতিন চাপের মুখে পড়ে এওকটা জিনিষই চাইবেন আর তা হলও, শান্তি”।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র শনিবারের ফিন্যানশিয়াল টাইমস পত্রিকায় যৌথ অভিমত হিসেবে প্রকাশিত রচনায়, সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্নস ও ব্রিটেনের এম আই সিক্সটিন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রিচার্ড মুর তাদের সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার প্রত্যয় প্রকাশ করেন।
তাঁরা লেখেন, “ ইউক্রেনের ব্যাপারে সঠিক পথে থাকাটা আগেকার যে কোন সময়ের তূলনায় এখন খুব জরুরি। পুতিন ইউক্রেনের সার্বভৗমত্ব ও স্বাধীনতা শেষ করতে সফল হবেন না”। এই প্রথম দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান যৌথ নিবন্ধ প্রকাশ করলেন।
এই দুই গোয়েন্দা প্রধান রাশিয়ার গোয়েন্দা কর্মকান্ডের প্রতি তাদের ইউরোপ জুড়ে অপ তথ্য ছড়ানোর ভিযোগ করেন। রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।