দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশ থেকে শুক্রবার সুপার টাইফুন ইয়াগি আঘাত হানার আগেই কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিবেশী ভিয়েতনামে আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজনে বন্যা ও ভূমিধসের পর গত কয়েকদিন ধরে সুপার টাইফুনে পরিণত হওয়ার আগে ইয়াগির আঘাতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ঝড়টি শুক্রবার চীনের জনপ্রিয় অবকাশ যাপন কেন্দ্র হাইনান এবং পার্শ্ববর্তী গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় উভয় প্রদেশে বন্যা মোকাবিলায় জরুরি প্রতিক্রিয়া তৃতীয় সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে।
বন্যা কর্মকর্তাদের এক বৈঠকের বরাত দিয়ে সিনহুয়া বলেছে, “২০১৪ সালের পর থেকে ইয়াগি চীনের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হতে পারে। এটি বন্যা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমকে খুবই চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।”
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হাইনান কর্তৃপক্ষ দ্বীপ থেকে চার লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
নাসা আর্থ ডেটা অনুসারে, ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগ নিয়ে টাইফুনটি “ক্যাটাগরি ৪ হারিকেনের সমতুল্য”।
ইয়াগি শহরটির ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের পর দুপুরের পরপরই হংকং-এ টাইফুন সতর্কতা জারি করা হয়।
শুক্রবার হংকং-এর স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন স্থগিত করা হয় এবং স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, আবহাওয়ার কারণে শহরে পাঁচজন আহত হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল।
দক্ষিণ চীনে প্রায়শই গ্রীষ্ম এবং শরৎকালে টাইফুন আঘাত হানে। এটি ফিলিপাইনের পূর্ব দিকে উষ্ণ মহাসাগরে তৈরি হয় এবং তারপর পশ্চিম দিকে যেতে থাকে।