এক বছরের বেশি সময় আগে জর্জিয়ার পুলিশ একটি স্কুলে গুলি চালানোর হুমকি সংক্রান্ত অনলাইন পোস্ট সম্পর্কে টিপস পেয়ে ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সাক্ষাৎকার নেয়। কিন্তু তদন্তকারীদের কাছে তাকে গ্রেপ্তারের পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না। বুধবার আটলান্টার বাইরে নিজের হাইস্কুলে ওই কিশোর গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা ও নয়জনকে আহত করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জর্জিয়া ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক ক্রিস হোসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আপালাচি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ম্যাসন শেরমারহর্ন ও ক্রিশ্চিয়ান অ্যাঙ্গুলো (১৪) এবং প্রশিক্ষক রিচার্ড আসপিনওয়াল (৩৯) ও ক্রিস্টিনা ইরিমির (৫৩) মৃত্যুর ঘটনায় ওই কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আটলান্টার উত্তর-পূর্বে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে উইন্ডারের ওই স্কুলের আটজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষকসহ অন্তত নয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারো কাউন্টি শেরিফ জুড স্মিথ বলেন, সবাই বেঁচে আছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরকে বৃহস্পতিবার আঞ্চলিক যুব আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
সহপাঠী লায়লা সায়ারাথ জানান, যখন ওই কিশোরের সহপাঠীরা শ্রেণিকক্ষে তার ফিরে যাওয়ার জন্য দরজা খুলতে অস্বীকার করে, অ্যাসল্ট স্টাইলের রাইফেল হাতে ওই কিশোর স্কুলের হলওয়েতে শিক্ষার্থীদের দিকে বন্দুক তাক করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালের মে মাসে এফবিআই অনলাইনে স্কুলে গুলি চালানোর হুমকি দেয়ার বিষয়ে বেনামে তথ্য পাওয়ার পর ওই কিশোরের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল।
এফবিআই হুমকিগুলো সংকুচিত করে নিয়ে আসে এবং মামলাটি ব্যারো কাউন্টি সংলগ্ন জ্যাকসন কাউন্টির শেরিফ বিভাগে প্রেরণ করে।
শেরিফের কার্যালয় তখন ১৩ বছর বয়সী কিশোর এবং তার বাবার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। তারা বলেছিল, বাড়িতে শিকারের বন্দুক ছিল, তবে ওই কিশোর অনুমতি ছাড়া সেগুলো ধরতে পারতো না। কিশোরটি অনলাইনে কোনো হুমকি দিয়েছে- এমন বিষয়ও তারা অস্বীকার করে।
এফবিআই জানায়, শেরিফের কার্যালয় কিশোরটির ওপর অব্যাহত নজরদারির জন্য স্থানীয় স্কুলগুলোকে সতর্ক করেছিল, তবে গ্রেপ্তার বা অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা ছিল না।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও ইউএসএ টুডে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে পরিচালিত ডেটাবেজ অনুযায়ী, বুধবারের আগে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ২৯টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডে অন্তত ১২৭ জন নিহত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী বাদে চার বা ততোধিক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এফবিআই দ্বারাও গণহত্যার এই সংজ্ঞা ব্যবহৃত হয়।