গাজীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে খুলে দেওয়া হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানাসহ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দলে দলে শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করেন।
কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় গাজীপুরে বেশ কিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে বুধবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাজীপুরের টঙ্গী, বোর্ডবাজার, ভোগরা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুরসহ শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো খোলা হয়। কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। কর্মচারী ও কর্মকর্তারা কারখানায় এসেছেন। নগরের ছয়দানা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এলাকাবাসী ও কারখানা মালিকপক্ষ বিশৃঙ্খলা মোকাবিলা করতে সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
আয়োজকেরা বলছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর করে শিল্প খাতে নৈরাজ্যের সৃষ্টি ও ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্যই তারা মাঠে রয়েছেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল ২–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, সব কারখানাই খোলা রয়েছে। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের প্রায় ৯০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।