বুধবার পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়াকে “বৈচিত্র্যের মধ্যে সম্প্রীতির” প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়ার মধ্য দিয়ে ১১ দিনে চার দেশ সফর করবেন।
পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম দিন বেশ কৌতুক ও হাসি-ঠাট্টা করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ও অন্যান্য ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তারপর বিকেলে জাকার্তার প্রধান ক্যাথেড্রালে ক্যাথলিক যাজক, নান ও সেমিনারিয়ানদের শুভেচ্ছা জানান।
পোপ ফ্রান্সিস নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সাথে প্রাসাদের বারান্দায় উইদোদোর সাথে যোগ দিলে তোপধ্বনির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত একটি মার্চিং ব্যান্ড, সেনা এবং শিশুরা ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পোপকে স্বাগত জানায়।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়ার মানব বৈচিত্র্যকে দ্বীপপুঞ্জের ১৭ হাজার দ্বীপের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন যে প্রত্যেকে একটি সুন্দর মোজাইক গঠনে নির্দিষ্ট কিছু অবদান রাখে, যার মধ্যে প্রতিটি টাইল একটি দুর্দান্ত মূল্যবান জিনিস তৈরিতে অপরিবর্তনীয় উপাদান।
তবু পোপ ফ্রান্সিস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার একটি দেশে এ ধরনের বৈচিত্র্য সংঘাতের উৎসও হয়ে উঠতে পারে- ইন্দোনেশিয়ার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসহিষ্ণুতার যে ঘটনা ঘটেছে এবং বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত নিয়ে বৃহত্তর উদ্বেগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি একথা বলেন।
আঞ্চলিকভাবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনাকীর্ণ, সহিংস শিবির থেকে ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া নিয়মিতভাবে গাজায় জঙ্গি হামাস গোষ্ঠীর সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধের নিন্দা করেছে, এবং উইদোদো ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি ভ্যাটিকানদের সমর্থনের জন্য ফ্রান্সিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।