কুমিল্লায় কমছে বন্যার পানি, বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরছে মানুষ

গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে পানি বের হতে দেখা গেলেও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে থাকায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরছে বন্যাদুর্গতরা। অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া মানুষজনের অনেকে আসবাবপত্র নিয়ে নিজের ঘরে ফিরছে, আবার অনেকে বাড়িঘর মেরামত ও পরিষ্কার করছে। ঘরদোর ঘষামাজা করতে দেখা যায় অনেককে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালেও গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে পানি বের হতে দেখা যায়। তবে গোমতী নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে বন্যার পানি যতই কমছে, ততই দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। ভেসে উঠছে সড়কগুলো যেগুলোতে খানাখন্দে ভরে গেছে।

এ ছাড়া, প্লাবিত কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলাগুলোতে বন্যা পানি কমে পরিস্থিতি হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী ছিল। ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নেয়। যাদের বেশির ভাগ এখন ফিরছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিজের ঘরবাড়িতে।

দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সেই সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।