আফগান রাজধানীতে বোমা হামলার দায় নিল ইসলামিক স্টেট

কাবুলে একজন আত্মঘাতী বোমাবাজ সোমবার যে আক্রমণ চালায় , সেই স্থানে পরের দিন কয়েকজন আফগানকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। সেপ্টেম্বর ৩,২০২৪।

আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি দল মঙ্গলবার দাবি করেছে যে আগের দিন কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলার এপছনে তারা ছিল। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৬ জন নিহত এবং আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

আফগান রাজধানীতে সোমবারের ঐ হামলার অব্যবহিত পরেই বর্তমান তালিবান সরকার হতাহতের খবর জানায় । তারা বলে ভিড়ের মধ্যে একটি লোক তার শরীরে বেঁধের রাখা বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায় । এই ঘটনার শিকার হয়েছেন বেসামরিক লোকজন।

অবশ্য আফগানদেরই একটি শাখা মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বৈশ্বিক সন্ত্রাসী চক্র, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে মঙ্গলবার তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে তালিবানের এই দাবির প্রতিবাদ করে।

আইএস-কে জোর দিয়েই বলে যে তাদের আত্মঘাতী বোমাবাজদের একজন রাষ্ট্রের আইন বিভাগকে লক্ষ্য করেই আক্রমণ চালিয়েছে এবং হতাহতের সংখ্যা “ ৪৫ জনের বেশি” । তারা বলছে নিহতদের মধ্যে তালিবান সদস্যরাও ছিলেন।

আইএস-কে বলছে , “তালিবান কারাগারগুলিতে মুসলিম কারাবন্দি, বিশেষত তাদেরকে কুখ্যাত বাগরাম কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর , আমেরিকান যুগের মতোই যে আচরণ করা হয় তারই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এই আক্রমণ চালানো হয়েছে”।

এখানে আসলে কাবুলের যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সামরিক ঘাঁটি ও আটক কেন্দ্রের প্রসঙ্গেই বলা হয়েছে । এই কেন্দ্রটি দুই দশক ধরে চালু ছিল । ২০২১ সালে আমেরিকান সৈন্যরা আফগানিস্তান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করা পর্যন্ত ওই ঘাঁটি চালু ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের ও তালিবান বিদ্রোহীদের বাগরাম কারাগারে আটক করে রাখা হয় এবং বন্দিদের প্রতি দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।

কাবুলে সোমবারের আইএস-কে আক্রমণের একদিন আগে তালিবান কারাগার কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন যে বাগরামের বন্দি স্থাপনা আবার চালু করা হচ্ছে এবং কিছু বন্দিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তারা বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

আইএস-কে কিংবা তালিবানের দাবি নিরপেক্ষ কোন সুত্র থেকে নিশ্চিত করা যায়নি। উভয় পক্ষই এ ধরণের আক্রমণকে হয়ত অতিরঞ্জিত করা হয় কিংবা লুকিয়ে রাখা হয়।

কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।