পেনসিলভেনিয়াতে দলীয় সমর্থন বাড়াতে বাইডেনের দিকে তাকিয়ে হ্যারিস

প্রিন্স জর্জেস কমিউনিটি কলেজের এক সভায় ব্যবস্থাপত্রের ওষুধের দাম কমাতে বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগ নিয়ে বক্তব্য রাখার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। লারগো, মেরিল্যান্ড। ফাইল ফটোঃ ১৫ আগস্ট, ২০২৪।

পেনসিলভেনিয়ার ঘোলা রাজনৈতিক ময়দানে সোমবার এক প্রচারণা সভায় সম্মিলিতভাবে সুর চড়াচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন ও তার নীতির প্রতি গভীর আনুগত্য বজায় রেখে এবং নিজেকে “নতুন দিশা” হিসেবে তুলে ধরে হ্যারিস ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছেন।

এই জুটি পিটসবার্গে লেবার দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দেবার কথা এবং সংক্ষিপ্ত ভাষণও দেবেন। আকস্মিক নির্বাচনী পালাবদলের পর থেকে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে তারা একসঙ্গে ভাষণ দেবেন। উল্লেখ্য, এই পালাবদলের ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে ডেমোক্রেটিকদের মধ্যে নতুনভাবে উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

হ্যারিসের প্রচারণা বিভাগ বলেছে, ছয় সপ্তাহ আগে হ্যারিস টিকিটের শীর্ষ স্থানে আসার পর পেনসিলভেনিয়ার ভোটাররা নতুনভাবে উদ্দীপিত হয়েছেন এবং হ্যারিস ও ডেমোক্রেটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজের হয়ে প্রচারের জন্য হাজার হাজার নতুন স্বেচ্ছাসেবী নাম লিখিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ এই কুচকাওয়াজে হ্যারিস ও বাইডেনের উপস্থিতি নির্বাচনী রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা অঙ্গরাজ্যে ঝটিকা সফরের অংশ।

৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস নিজেকে বিষাক্ত রাজনীতির বাইরে রেখে ও তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কটু বয়ানকে প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে আবেদন করতে চাইছেন। পাশাপাশি, বাইডেন যুগকে অতিক্রম করতেও আগ্রহী তিনি। হ্যারিসের বক্তব্য বাইডেনের চেয়ে অনেকটা আলাদা হলেও বাইডেন যে বিষয়গুলিকে সমর্থন করেছেন সেগুলিই রয়েছে হ্যারিসের কর্মসূচিতে: ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের মূল্যে লাগাম পরানো, সাশ্রয়ী পরিষেবা আইন, অর্থনীতি ও শিশুদের যত্নের ব্যয় বহন করতে পরিবারগুলিকে সাহায্য করা।

হ্যারিস সম্প্রতি এক জনসভায় বলেন, “আমরা এমন একটা ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছি যেখানে আমরা গড়ে তুলব (যাকে আমি বলি) সুযোগ-সুবিধার অর্থনীতি, যাতে সম্পদ ও আন্তঃপ্রজন্ম সমৃদ্ধি গড়ে তুলতে প্রত্যেক আমেরিকানের একটি বাড়ির মালিক হওয়ার, একটা ব্যবসা শুরু করার সুযোগ থাকে। এবং এমন একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই যেখানে জীবনযাপনের খরচ হবে কম।” তাঁর কথায় বাইডেনের অর্থনীতি “গড়ে তোলার” আহ্বানের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে।

গত মাসের ডেমোক্রেটিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী রাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ভাষণ দেওয়ার পর হ্যারিস অল্প সময়ের জন্য মঞ্চে বাইডেনের সঙ্গে হাজির ছিলেন। তবে, যতদিন বাইডেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করছিলেন ততদিন কোনও রাজনৈতিক সভায় তারা দু’জন একসঙ্গে বক্তব্য রাখেননি। সেই সময়, ডেমোক্রেটিক প্রচারণা বিভাগ তাদের গর্ভপাতের অধিকার বিষয়ের প্রধান মুখপাত্রী হিসেবে হ্যারিসকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে।

টিকিট বদলের পর থেকে এই জুটি বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন এবং হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করেছেন।