চীনের আবহাওয়া দফতর বলেছে, সে দেশের কয়েকটি এলাকা উষ্ণতম আগস্ট প্রত্যক্ষ করেছে। গত মাস কেটেছে তীব্র দাবদাহে। এদিকে, জাপানের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালই সে দেশের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল।
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে চীন প্রথম সারিতে রয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্যাস বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকে ২০৩০ সালের মধ্যে সবচেয়ে কমিয়ে ২০৬০ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং।
চীনের আবহাওয়া দফতর রবিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছে, রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে আটটি প্রদেশ, অঞ্চল ও শহরে গত মাসে বায়ুর গড় তাপমাত্রা “এই সময়কালের নিরিখে উষ্ণতম ছিল।”
আবহাওয়া দফতর বলেছে, এই অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে বড় শহর সাংহাই, জিয়াংসু প্রদেশ, হেবেই, হাইনান, জিলিন, লিয়াওনিং, শানডং ও জিনজিয়াং অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।
উল্লেখ্য, আরও পাঁচটি প্রদেশ দ্বিতীয় উষ্ণতম ও সাতটি প্রদেশ তৃতীয় উষ্ণতম আগস্ট প্রত্যক্ষ করেছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, “গত মাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, চীনের বেশিরভাগ অংশ আগের বছরগুলির চেয়ে উষ্ণতর গ্রীষ্ম প্রত্যক্ষ করেছে।”
সাংহাই, হাংঝৌ ও চংকিং-এর প্রধান জনবহুল এলাকাগুলি “উচ্চ দাবদাহের দিন” প্রত্যক্ষ করেছে। রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে এত উষ্ণ আগস্ট তারা আগে দেখেনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পারদ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে “উচ্চ দাবদাহের দিন” ঘোষণা করা হয় সাধারণত।
যদিও শরৎকাল শুরু হলে উত্তরাঞ্চলের অনেক অংশে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর বলেছে, “এই পরিস্থিতি পুরোপুরি শেষ হতে এখনও অনেক সময় লাগবে।”
জলবায়ু বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে ভবিষ্যতবাণী করেছেন যে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ২০২৪ সাল হবে পৃথিবীর জন্য উষ্ণতম বছর।
কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) বলেছে, ১৯৪০ সাল থেকে রাখা তাপমাত্রার নথির নিরিখে জুলাই মাস ছিল দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস; ২০২৩ সালের জুলাই মাসের চেয়ে সামান্য শীতল।
চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, চীনের আবহাওয়া দফতর বলেছে, রেকর্ড নথিভুক্তি শুরুর পর থেকে জুলাই মাস ছিল সে দেশের উষ্ণতম মাস। বিশ্বের বিশাল অংশ জুড়ে চরম তাপমাত্রা বিরাজ করছে।