জার্মানির উগ্র ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি, বা এএফডি, রবিবার দেশটির পূর্বে প্রথমবারের মতো একটি প্রাদেশিক নির্বাচনে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হয়ে উঠার পথে আছে। দ্বিতীয় একটি রাজ্যের নির্বাচনে প্রচলিত রক্ষণশীলদের সাথে ভোটে মোটামুটি সমান অবস্থানে আছে বলে বুথ-ফেরত সমীক্ষাতে (এক্সিট পোল) দেখা যায়।
একজন বিশিষ্ট বামপন্থী ব্যক্তির প্রতিষ্ঠিত একটি নতুন দলও তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব ফেলে। তবে চ্যান্সেলর ওলাফ শল্টজ-এর অপ্রিয় জাতীয় সরকারের দলগুলো দুর্বল ফলাফলের দিকে আগাচ্ছে ।
এআরডি এবং জেডডিএফ নামক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক্সিট পোলে দেখা যায়, এএফডি থুরিঞ্জিয়ায় ৩০.৫ শতাংশ থেকে ৩৩.৫ শতাংশ এবং স্যাক্সনি প্রদেশে ৩১.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকতে পারে৷ এক্সিট পোল জাতীয় পর্যায়ে প্রধান বিরোধী দল মধ্য-ডানপন্থী ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নকে থুরিঞ্জিয়ায় ২৪.৫ শতাংশ এবং স্যাক্সনি প্রদেশে ৩১.৫ - ৩২ শতাংশে রাখে।
অন্য কোনোও দল এএফডি এর সাথে একই জোটে যোগ দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসাতে রাজি হবে এমনটি হওয়া খুবই অসম্ভাব্য। তা সত্ত্বেও, তাদের ক্ষমতা নতুন রাষ্ট্রীয় সরকার গঠন করাকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলতে পারে।
নতুন যারা ভাগেনেখট এলায়েন্স বা বিএসডব্লিউ-এর শক্তি থুরিঞ্জিয়াতে ১৬ শতাংশ এবং স্যাক্সনি প্রদেশে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এটি জটিলতার ক্ষেত্রে আরেকটি মাত্রা যোগ করে৷
আলিস ভিডেল, এএফডি-র একজন জাতীয় সহ-নেতা, এআরডিকে বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক সাফল্য।”
অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য কুখ্যাত একটি জাতীয় সরকারের প্রতি গভীর অসন্তোষ, অভিবাসন বিরোধী মনোভাব এবং ইউক্রেনের জন্য জার্মান সামরিক সহায়তার প্রতি সংশয় এই অঞ্চলের জনতাবাদী দলগুলির সমর্থনে অবদান রাখার পিছনে কয়েকটি কারণ।
সাবেক কমিউনিস্ট পূর্বাঞ্চলে এএফডি সবচেয়ে শক্তিশালী, এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা দলটিকে “প্রমাণিত ডানপন্থী চরমপন্থী” গোষ্ঠী হিসাবে স্যাক্সনি এবং থুরিঞ্জিয়া দুই জায়গাতেই দলটির শাখার উপর সরকারী নজরদারির অধীনে রাখা হয়েছে।
থুরিঞ্জিয়াতে দলটির নেতা, বিওরন হকা, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে জেনেশুনে একটি নাৎসি স্লোগান ব্যবহার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু, তিনি আদালতে আপীল করছেন।
অন্য একটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ব্র্যান্ডেনবার্গে ২২ সেপ্টেম্বর একটি তৃতীয় রাষ্ট্রীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই রাজ্যে শল্টজ-এর মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দল বর্তমানে ক্ষমতায় আছে। জার্মানির পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কিছু পরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।