কর্তৃপক্ষ বলছে যে শুক্রবার দিনের শেষে এডেন উপসাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাসম্বলিত একটি পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই আক্রমণের আগে হুথিরা নিকটবর্তী লোহিত সাগরে গ্রীক পতাকাসম্বলিত একটি জাহাজে বার বার আক্রমণ চালিয়ে জাহাজটির ভেতরে প্রবেশ করে, সেখানে একটি বিস্ফোরক স্থাপন করে যাতে তারা পরে বিস্ফোরণ ঘটায়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ সেই হামলায় সমুদ্রে তেল ছড়িয়ে পড়ার একটা বড় হুমকি দেখা যায় । বিদ্রোহীদের এই অভিযানে লোহিত সাগরে প্রতি বছর ১০ লক্ষ কোটি ডলারের মালামাল পরিবহনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া সংঘর্ষ পীড়িত সুদান ও ইয়েমেনে ত্রাণের চালান ও থেমে গেছে।
ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মেরিটাইম ট্রেড অপারশোনস সেন্টার জানিয়েছে শুক্রবারের ঐ আক্রমণে এডেনে ২৪০ কিলোমিটার পূর্বে “জাহাজটির অত্যন্ত কাছে বিস্ফোরিত হয়” দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র।
তারা বলেছে জাহাজটি “জানিয়েছে সব নাবিক নিরাপদে রয়েছেন এবং তারা পরবর্তী বন্দরের দিকে যাচ্ছে”।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর তত্বাবধানে বহুজাতিক সংগঠন দ্য জয়েন্ট মেরিটাইম ইনফর্মেশান সেন্টার শনিবার শনাক্ত করেছে যে ঐ আক্রান্ত জাহাজটি হচ্ছে লাইবেরিয়ার পতাকাসম্বলিত মালবাহী জাহাজ গ্রটন।
হুথিরা তাত্ক্ষণিক ভাবে শুক্রবারের এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি। তবে বিদ্রেহীরা কয়েক ঘন্টা এমন কী কয়েক দিনের মধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করতে পারে।
অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৮০ টিরও বেশি জরযানকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তারা একটি জাহাজ দখল করেছে আর দুটি ডুবিয়ে দিয়েছে যাতে চার জন নাবিক প্রাণ হারান। অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনকে লোহিত সাগরে হয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাধা দিয়েছে নয়ত তারাই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিদ্রোহীরা দবি করে যে তারা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজগুলিকেই লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালাচ্ছে যাতে করে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়। তবে আক্রান্ত বহু জাহাজের সঙ্গে এই সংঘাতের কোন সম্পর্কই ছিল না।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড শনিবার বলেছে যে তারা ইয়েমেনে হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে দুটি ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে।