শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, এক রাতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে বোমা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে টানা চার দিন ধরে ইসরায়েলি অভিযান চলছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলায় গাজার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। হামাস পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলে “বীরোচিত অভিযানের” প্রশংসা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই অভিযান “এক সংবেদনশীল মুহূর্তে” এসেছে, যখন ইসরায়েলি বাহিনী তাদের (হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন) ভূখণ্ডের উত্তরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গাশ এতজিয়ন সেটেলমেন্ট ব্লকের একটি পেট্রল স্টেশনে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী “একজন জঙ্গি সদস্যের গাড়ি বোমা হামলার প্রচেষ্টা” হিসেবে অভিহিত করে এবং জানায়, পরবর্তীতে এই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, এই ঘটনায় এক সেনা সদস্য “ মাঝারি ধরণের আঘাত পেয়েছেন এবং পার্শ্ববর্তী একটি কমিউনিটির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রিজার্ভ কর্মকর্তা সামান্য আঘাত পেয়েছেন।”
দ্বিতীয় ঘটনায় ইসরায়েলি বসতি কারমেই জুরের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান একজন “জঙ্গি সদস্যের” গাড়িকে ধাওয়া করেন। এই জঙ্গি সদস্য ওই বসতির এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। ধাওয়ার এক পর্যায়ে দুই গাড়ির সংঘর্ষ হয় এবং “শিগগির জঙ্গি সদস্যকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়” বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “সংঘর্ষের সময় জঙ্গি সদস্যের গাড়িতে থাকা বিস্ফোরকটি বিস্ফোরিত হয়।”
পশ্চিম তীরে বুধবার থেকে শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, নিহতদের বেশিরভাগই জঙ্গি সদস্য। পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে যুগপৎ অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকেই পশ্চিম তীরে সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে।
জাতিসংঘ বুধবার জানায়, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে অন্তত ৬৩৭ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সেনা বা অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের) হাতে নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে পশ্চিম তীরে সেনা অভিযানে অংশ নিয়ে বা ফিলিস্তিনিদের হামলায় সেনাসদস্যসহ মোট ১৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।