ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৪টি রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে, বলছে কিয়েভ

কিয়েভে ব্ল্যাকআউটের সময় একটি সুপারমার্কেটে ক্রেতার সঙ্গে কথা বলছেন এক দোকানী (৩০ আগস্ট, ২০২৪)

ইউক্রেনের আটটি অঞ্চলে রাশিয়া ৫২টি ড্রোন পাঠিয়ে রাতভর হামলা চালিয়েছে। আজ শনিবার বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বিমান হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ২৪টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

বিমান বাহিনী টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, বাকি ২৫টি শাহেদ ড্রোন মাটিতে আঘাত করেছে এবং ৩টি ড্রোন রাশিয়া ও বেলারুশের দিকে উড়ে যায়। এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বা বড় কোনো ক্ষতিও ঘটেনি।

ইউক্রেন প্রায় প্রতিনিয়তই রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে যুদ্ধের বৈদ্যূতিন সাজ সরঞ্জাম, মোবাইল হান্টিং গ্রুপ ও আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে।

রাতভর ড্রোন হামলার সময় একাধিকবার বিমান হামলার সতর্কতা সূচক এলার্ট বাজানো হয়। অসংখ্য মানুষ মধ্যরাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ছোটাছুটি করেন।

রাজধানী কিয়েভে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সতর্কতা জারি করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, এটা এ সপ্তাহে চতুর্থ ড্রোন হামলার ঘটনা।

কিয়েভ নগরের কর্মকর্তারা জানান, শহরে হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো সবগুলো ড্রোনই ভূপাতিত করা হয়েছে, কিন্তু বড় কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের মধ্যবর্তী পোলতাভা, চেরকাসি, কারোভোহরাদ ও নিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চল, উত্তরের চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চল এবং দক্ষিণের মাইকোলাইভ অঞ্চলেও রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে দেশটির বিমান হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

চেরকাসি অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কয়েকটি ব্যক্তিগত আবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামলার সময় রুশ বাহিনী পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রও ছুঁড়েছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। তবে এ বিষয়ে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তুলনামূলকভাবে ছোট প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়ে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়ায় উভয়ই দাবি করেছে যে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় না। মস্কো এই আগ্রাসনকে “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে অভিহিত করে।