ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুত অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানালেন ইইউ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা

ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগুন নেভাতে ব্যস্ত উদ্ধারকারীরা। ফটোঃ ৩০ আগস্ট, ২০২৪।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা শুক্রবার ব্রাসেলসের বৈঠকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধে সে দেশকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুত অস্ত্র সরবরাহ করতে কিয়েভের মিত্রদেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে, ইউক্রেনের শীর্ষ কূটনীতিক ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন যাতে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে এই দেশগুলির পাঠানো অস্ত্র তারা ব্যবহার করতে পারেন।

গ্রীষ্মাবকাশের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা তাদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সমবেত হয়েছেন এবং আলোচনার আগে সংবাদদাতাদের বলেছেন, কর্মসূচির শীর্ষে রয়েছে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা পাঠানো।

এস্তোনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হ্যানো পেভকুর বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ ঠিক দিকেই এগোচ্ছে, তবে ইউক্রেন এটি করছে একটি হাত “পিছনে রেখে” কারণ তাদের আরও অস্ত্র প্রয়োজন। তিনি সহকর্মীদের প্রতিশ্রুত অস্ত্র সরবরাহ করতে অনুরোধ করেছেন।

এই প্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি-মতো তার দেশ ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে চলেছে শীঘ্র। তিনি বলেন, তিনি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করতে চান না কারণ তিনি রুশদের কোনও সুযোগ দিতে চান না, তবে তিনি বলেছেন, শীঘ্র পাঠানো হবে।

উপস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ভেঙে পড়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, পশ্চিমা মিত্রদের থেকে ইউক্রেন যে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেয়েছে তার একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সুইডেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পল জনসন বলেছেন, যুদ্ধের সময় এমনটা ঘটে থাকে এবং তিনি এর মধ্যে “তেমন নাটকীয় কিছু দেখছেন না।”

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত যুদ্ধবিমান সোমবার বিধ্বস্ত হয়; সেই সময় রাশিয়া ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রুশ বিমান হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে সেই যুদ্ধবিমান ভেঙে গেছে। এই ঘটনায় চালক নিহত হয়েছেন। জুলাইয়ের শেষ দিকে ইউক্রেনে আসার পর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের এটাই প্রথম ক্ষতি।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান মিকোলা ওলেশচুক তার টেলিগ্রাফ অ্যাকাউন্টে বলেছেন, এই ভাঙনের প্রাথমিক প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রকে পাঠানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ও অংশীদাররা তদন্তে সাহায্য করছেন।

উপ-মুখপাত্র সাবরিনা সিং বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে ব্রিফিং-এ বলেছেন, তিনি কোনও রকম সহায়তা বা ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সহায়তার অনুরোধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।