প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী হওয়ার পর বড় একটি সংবাদ সংস্থার সাথে প্রথম সাক্ষাৎকারে কমালা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করার অঙ্গীকার করেন এবং বলেন, তিনি ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করবেন না।
সিএনএন-এর উপস্থাপক ডেনা ব্যাশের সাথে সাক্ষাৎকারে হ্যারিস দেখাতে চেয়েছিলেন যে তিনি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত। ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আর মাত্র দুই মাসের কিছু বেশি সময় বাকি।
কমালা হ্যারিস বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠোর করার জন্য ব্যাপক সীমান্ত আইন নবায়ন করবেন। তিনি সীমান্ত পারাপারের বিরুদ্ধে “আমাদের আইন প্রয়োগ” করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হ্যারিস বলেন, “আমাদের আইন অনুসরণ ও প্রয়োগ করতে হবে, যারা অবৈধভাবে আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের চিহ্নিত ও মোকাবিলা করতে হবে এবং এর একটি বিহিত হওয়া উচিত ।”
তিনি বলেন, তিনি শক্তিশালী ইসরায়েলকে সমর্থন করেন, কিন্তু গাজা সংঘাতে যুদ্ধবিরতির জন্য আমাদের অবশ্যই একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে কমালা হ্যারিস নির্বাচনে এগিয়ে এসেছেন, প্রচারণার জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার অনুদান এনেছেন এবং বেশ কয়েকটি জোরালো প্রচারণা বক্তব্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোস জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে চার শতাংশ ভোটে তিনি এগিয়ে আছেন। এতে দেখা যায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভোটারদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করেছেন।
কিছু সমালোচক মনে করছেন, তিনি টিভি সাক্ষাৎকারের মতো অলিখিত কাঠামোতে কম অভ্যস্ত হতে পারেন, তবে বৃহস্পতিবার তিনি কোনো বড় ভুল করেননি বলে মনে হচ্ছে।
কমালা হ্যারিস তার এবং বাইডেনের মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, তারা উত্তরাধিকার সূত্রে একটি মহামারী-বিধ্বস্ত অর্থনীতি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের অব্যবস্থাপনায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, দাম কমানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তবে “দাম এখনো বেশি”।