বলপূর্বক গুম হওয়া থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষায় এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অফ অল পারসনস ফ্রম এনফোর্স ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন ৯টি মূল মানবাধিকার চুক্তির সবগুলোতেই অংশীদার হলো, যার মধ্য দিয়ে সবার জন্য স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার জনগণের আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অগাস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সনদে স্বাক্ষর করেন।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলোর অন্যতম হলো, প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা। এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অফ অল পারসনস ফ্রম এনফোর্স ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স (আইসিপিপিইডি)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইসিপিপিইডি জাতিসংঘের আওতাধীন একমাত্র আন্তর্জাতিক কনভেনশন যা এনফোর্স ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সকে কেন্দ্র করে গৃহীত হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুম প্রতিরোধ করা, ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এ ছাড়া, গুরুতর এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ৩০ অগাস্ট জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক গুম দিবস পালনের একদিন আগেই উপদেষ্টা পরিষদে বৈঠকে আইসিপিপিইডিতে বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
কনভেনশনটি ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়েছে।