শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক হত্যা মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন বুধবার (২৮ অগাস্ট) দুই বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা দুটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান অপর একটি মামলাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে আশুলিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।

তিনটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকার বনশ্রীতে মুদি দোকানি মিজানুর রহমানের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মিজানুর রহমানের বাবা কামাল হোসেন।

১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। তাঁকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।

একই দিন বনশ্রী এলাকায় ১৪ বছরের কিশোর আশিকুল ইসলাম গুলিতে নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ওই কিশোরের মা আরিশা আফরোজ।

অন্যদিকে ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) গুলি করে হত্যার পর লাশ আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সজলের ভাই মিজানুর রহমান।

তিনি অভিযোগ করেছেন, ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইলে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল করেন। আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং গ্রেফতার করে।

ওই সময় সিটি ইউনিভার্সিটির বিএসসি (টেক্সটাইল) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) আটক করে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।

পরে আশুলিয়া থানার সামনে রাস্তার ওপর রাখা পুলিশের ব্যবহৃত লেগুনায় থাকা সজলের লাশসহ অন্য লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।