আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত

কাশিমপুর কারাগার

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানী।

সোমবার (২৬ অগাস্ট) জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান জানান, সন্ত্রাসবিরোধী মামলাসহ চারটি মামলায় গ্রেপ্তার মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানী হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। সোমবার সকালে তার জামিন আদেশের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাছাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় গতকাল রবিবার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তিনি জামিন পান।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আল-কায়েদার দক্ষিণ এশীয় শাখা আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের (একিউআইএস) সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হয়।আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামটি ইরাকি আল-কায়েদার আনসার উল ইসলাম-এর অনুকরণে নেওয়া।

বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ করে।

ব্লগার হত্যা

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একটি সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন। সংগঠনটির হামলার মূল লক্ষ্য হলো মুক্ত চিন্তার অনুসারী, ব্লগার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা জেলার একটি মসজিদে জঙ্গি হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় সংগঠনটির নেতা মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ৩০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে তারা ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা করে। এ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, যারা পরে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।

একই বছরের ১৪ জানুয়ারি ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে এবং ৭ মার্চ সানিউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালালে অভিজিৎ রায় নিহত ও তার স্ত্রী গুরুতর জখম হন। গত ৩০ মার্চ ব্লগার ওয়াসিকুর রহমানকে একইভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।