জার্মানিতে প্রাণঘাতী ছুরি হামলার জন্য সিরিয়া থেকে আসা 'শরণার্থীর' দায় স্বীকার

জার্মানির কার্লসরু শহরে রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির দফতর থেকে ২৬-বছর বয়স্ক সিরিয়া থেকে আসা যুবককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফটোঃ ২৫ অগাস্ট, ২০২৪।

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের শহর সোলিনজেনে ছুরি হামলায় তিন জনকে হত্যা ও আটজনকে আহতের অভিযোগে আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি একজন ২৬ বছর বয়স্ক সিরিয় পুরুষ। রবিবার দিনের শুরুতে এই তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এক যৌথ বিবৃতিতে ডুসেলডর্ফ পুলিশ ও কৌঁসুলিরা জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন।

“এই ব্যক্তির সম্পৃক্ততা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে”, জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফ্রনহফের মার্কেট স্কোয়ারে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। সেখানে সোলিনজেনের ৬৫০ বছরের ইতিহাস উদযাপনে ব্যান্ড দল লাইভ সঙ্গীত পরিবেশনা করছিল। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। শোকসন্তপ্ত এলাকাবাসী ঘটনাস্থলের কাছে একটি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে।

শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস

নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারবার্ট রেউল বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি সোলিনজেনে শরণার্থীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করতেন। সেখানে শনিবার তল্লাশি চালানো হয়েছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডের স্পিগেল অজ্ঞাত নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই ব্যক্তি ২০২২ সালের শেষের দিকে জার্মানি এসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তার পোশাক রক্তে মাখা ছিল বলেও জানায় পত্রিকাটি।

স্পিগেলের প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে পুলিশ।

জার্মানির রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে ইসলামিক স্টেটের সদস্য কী না, সেটা তারা খতিয়ে দেখছেন। কৌঁসুলিদের মুখপাত্র এই তথ্য জানান।

জঙ্গি গোষ্ঠীটি সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে শনিবার দেয়া এক বিবৃতিতে হামলাকারীকে “ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা” হিসেবে অভিহিত করে এবং জানায়, “হামলাকারী ফিলিস্তিন ও বিশ্বের অন্য সব জায়গায় মুসলিমদের (হত্যার) প্রতিশোধ হিসেবে এই (ছুরি) হামলা চালান”।