রবিবার সকালে দক্ষিণ লেবাননে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহ হামলা করতে পারে, এমন আশঙ্কায় এই হামলা চালানোর দাবি করে ইসরায়েল।
জবাবে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা গত মাসে তাদের এক শীর্ষ কমান্ডারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শতশত রকেট ও ড্রোনের ব্যবহারে হামলা চালিয়েছে।
দুই পক্ষ বড় আকারে হামলা চালালেও, পূর্ব আশঙ্কা অনুযায়ী এতে পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়নি। তবে এ অঞ্চলের পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে।
ইতোমধ্যে, গাজায় ১০ মাস ধরে চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত থামাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে রবিবার মিশরে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হচ্ছে। কূটনীতিকদের আশা, যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত হলে এ অঞ্চলের অস্থিরতা কমে আসবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হেজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় আকারে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল, এবং এ কারণে তারা লেবাননে হামলা চালিয়েছে।
অল্প সময় পর হিজবুল্লাহ ঘোষণা দেয়, তারা ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে। তারা জানায়, তাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গত মাসে বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফুয়াদ শোকর হত্যার জবাবে এই হামলা ছিল প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া।
দ্বিপ্রহর নাগাদ এই পাল্টাপাল্টি হামলা শেষ হয়। উভয় পক্ষ জানায়, তারা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। লেবাননের ওপর হামলায় অন্তত তিন জন নিহত হয়, তবে ইসরায়েলে কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে জানান, সামরিক বাহিনী “উত্তর ইসরায়েলের দিকে নিশানা করা হাজার হাজার রকেট” ধ্বংস করেছে। তিনি হোম ফ্রন্ট কমান্ডের কাছ থেকে আসা নির্দেশনা মেনে চলার জন্য দেশের জনগণকে অনুরোধ করেন।
“আমাদের দেশের প্রতিরক্ষায় যা দরকার তার সবই করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা উত্তরের বাসিন্দাদের তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে ফিরিয়ে নেব এবং একটি নিয়ম মেনে চলতে থাকব: যে আমাদের ক্ষতি করবে—আমরা তার ক্ষতি করবো”, বলেন তিনি।
পরবর্তীতে হিজবুল্লাহ জানায়, প্রতিশোধমূলক হামলার প্রথম পর্যায় সমাপ্ত হয়েছে এবং এর ফলে তারা ইসরায়েলের আরও ভেতরে, আরও বেশি করে হামলা চালাতে পারবে। পরবর্তী এক বিবৃতিতে তারা যোগ করে, “আজকের মতো সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে।”