ভারতে চিকিৎসকরা ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থামাতে নারাজ 

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। ফটোঃ ১৯ অগাস্ট, ২০২৪।

ভারতে হাজার হাজার চিকিৎসক নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে চলমান বিক্ষোভ থামাতে সোমবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় একজন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়ার পর প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

একজন চিকিৎসক ও প্রশিক্ষণার্থীকে ৯ আগস্ট ধর্ষণ ও হত্যার পর দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা নন-ইমার্জেন্সি রোগীদের সেবা প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং মোমবাতি মিছিল ও বিক্ষোভ শুরু করে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩১ বছর বয়সী নিহত নারী পূর্বাঞ্চলীয় শহর কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে কর্মরত একজন পুলিশ স্বেচ্ছাসেবককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত ছিল।

কঠোর আইন দাবী

প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসা নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, ২০১২ সালে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী একজন ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর কঠোর আইন প্রণয়ন করা সত্ত্বেও ভারতে নারীরা যে যৌন সহিংসতার শিকার হন, এই ঘটনা তা সামনে নিয়ে এসেছে।

বিক্ষোভকারীরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর হামলা ঘিরে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। যে আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে তার মধ্যে জামিনের সম্ভাবনা ছাড়াই যেকোনো হামলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

সরকার চিকিৎসকদের কাজে ফিরে যেতে বলছে এবং বলেছে যে, দাবিগুলো মূল্যায়নের জন্য তারা একটি কমিটি গঠন করবে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো উল্লেখ করেছে, ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ধর্ষণের রিপোর্ট ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যেটির সংখ্যা ৩১ হাজার ৫১৬।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এপি থেকে নেয়া হয়েছে।