ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সোমবার ভোরে রাশিয়ার বিমান হামলা প্রতিহত করতে সে দেশের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট কিয়েভের কাছে কাজ চালিয়ে গেছে।
ইউক্রেনের রাজধানীর উপর রবিবারের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই বিমান হামলা চালানো হলো।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহাই পপকো বার্তাবাহী অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, “এই নিয়ে আগস্টে রাজধানীর উপর তিনটি ব্যালিস্টিক হামলা চালানো হলো এবং প্রতিটি হামলার মধ্যে ছয়দিনের ব্যবধান রয়েছে।”
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মিকোলা ওলেসচুক বলেন, রবিবার সকালে রাশিয়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ব্যালিস্টিক, তিনটি ক্রুজ ও দুটি নিয়ন্ত্রিত বিমান-ক্ষেপণাস্ত্র। তিনি জানান, ইউক্রেন এগুলির মধ্যে পাঁচটিকেই ভূপাতিত করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, ইউক্রেনের সরবরাহ কেন্দ্র পকরোভস্ক থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম তাদের সৈন্যরা দখল করেছে।
জেলেন্সকির নৈশ ভাষণ
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রবিবার তার নৈশ ভাষণে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সামরিক বাহিনীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, “একদিনের মধ্যেই কয়েক ডজন হামলা করা হয়েছে, তবে আমাদের ইউনিটগুলি, আমাদের ব্রিগেড অবস্থানে অনড় থাকতে সর্বাত্মক কাজ করছে।” তিনি আরও বলেছেন, দনেৎস্ক অঞ্চলে তরেতস্কের কাছে রাশিয়ার সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে সৈন্যরা।
তিনি বলেন, “এই সবই ইউক্রেনের শুধুমাত্র প্রতিরক্ষার চেয়ে অনেক বেশি। এখন সামগ্রিকভাবে প্রতিরক্ষামূলক অভিযানে আমাদের প্রাথমিক কাজ হল, যতটা সম্ভব রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং সর্বাধিক পাল্টা-আক্রমণ চালানো।"
ওলেসচুক্ত বলেছে, এই অভিযানের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে সেয়েম নদীর উপর একটি কৌশলগত সেতু ধংস করেছে। শুক্রবার থেকে ইউক্রেনের আঘাত হানা এটা দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সেতু।
ইউক্রেন বলেছে, ৬ আগস্ট অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে তারা কুরস্ক অঞ্চলে ১১৫০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে থাকা ৮০টির বেশি বসতি দখল করেছে।