বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের জাতীয় ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন হাসপাতালে জুলাই মাসের বিক্ষোভে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসারত। শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসকল ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার।

শনিবার (১৭ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "সিদ্ধান্ত আরও হয়েছে-সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি (বিনামূল্যে) করা হবে। একইসঙ্গে যারা ইতোমধ্যে চিকিৎসা খরচ দিয়ে দিয়েছে, তাদের টাকাও ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা এখন কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত দেওয়া হবে তা না নিয়ে কাজ শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।"

বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রয়োজনে এ সকল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিনামূল্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো মানসম্পন্ন চিকিৎসা দেবে কিনা এবং তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, "এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা তো সারা বছর ব্যবসা করেছে, এখন যেন আন্দোলনে আহতদের থেকে চিকিৎসা খরচ না নেওয়া হয়। যদি টাকা নিতে হয়, সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে।"

বিনামূল্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো মানসম্পন্ন চিকিৎসা দিচ্ছে কিনা সেটাতেও নজরদারি রাখবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে জানান এই সমন্বয়ক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি কর্মপন্থা নির্ধারণে রবিবার(১৮ আগস্ট) বৈঠকে বসবে।

আন্দোলনে আহতদের তালিকা তৈরির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, "স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আহতদের প্রাথমিক একটা তালিকা তৈরি করেছে। যদিও সেটা চূড়ান্ত নয়। তারা আজকে একটা হেল্প লাইন খুলেছে। সেখানে আহতদের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। তারপর যাচাই-বাছাই করে দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।"