ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাতভর রুশ হামলায় ব্যবহৃত ১৪টি ড্রোনের সবকটিই ভূপাতিত করেছে। শনিবার এমনটাই দাবি করেছে দেশটির বিমানবাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে বিমানবাহিনী বলেছে, শাহেদ ড্রোনগুলো দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ছয়টি প্রদেশজুড়ে ভূপাতিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেন কুরস্ক প্রদেশের সেইম নদীর ওপর একটি সেতু ধ্বংস করতে পশ্চিম থেকে পাওয়া রকেট (খুব সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত হিমার্স) ব্যবহার করেছে। এই হামলায় বেসামরিক মানুষদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা নিহত হয়েছেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার দিনের শেষভাগে টেলিগ্রামে জানান, "প্রথমবারের মতো কুরস্ক অঞ্চলে পশ্চিমে নির্মিত রকেট লঞ্চার আঘাত হেনেছে, যেগুলো সম্ভবত আমেরিকান 'হিমার্স'।"
“গ্লাশকোভো জেলার সেইম নদীর ওপর নির্মিত সেতু আক্রান্ত হয়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং যেসব স্বেচ্ছাসেবক বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তারা নিহত হয়েছেন।”
ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান ওলেকসান্দর সিরস্কি শুক্রবার বলেন, কিয়েভের বাহিনী কুরস্ক প্রদেশের কিছু কিছু জায়গায় ১ থেকে ৩ কিলোমিটার এগিয়েছে। ১১ দিন ধরে তারা রুশ ভূখণ্ডে অভিযান পরিচালনা করছে। কিয়েভ দাবি করেছে, ৬ আগস্ট থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তারা এ অঞ্চলের ১ হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে অবস্থিত ৮২টি জনবসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে কোনো পক্ষেরই যুদ্ধক্ষেত্র সংক্রান্ত দাবি যাচাই করতে পারেনি।
রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের প্রথম স্থল অভিযানকে সহায়তা ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য রাশিয়া পশ্চিমকে দায়ী করেছ এবং বলেছে, কিয়েভের এই “সন্ত্রাসী আগ্রাসন” যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, তাতে তাকে জিততে দেবে না তারা। ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশটি ইউক্রেনের এই অপ্রত্যাশিত অভিযানকে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্রের ব্যবহারকে যুক্তিযুক্ত বলেই ভাবছে।