বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর নড়াইলে যারা তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবেন না।
দেশব্যাপী ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের মধ্যে মাশরাফি আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের মতো আত্মগোপন বা দেশ না ছেড়ে ঢাকায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
ঘটনার ৯ দিন পর (১৪ অগাস্ট) নীরবতা ভেঙে মাশরাফি ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান।
তিনি বলেন, “দলের বিরুদ্ধে কাজ করতে হলে আমাকে পদত্যাগ করতে হতো।”
মাশরাফি ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি যদি তা করতাম তবে সম্ভবত এখন আমার প্রশংসা করা হতো। কিন্তু সে সময় আমাকে ভেবে দেখতে হয়েছিল যে, আমার পদত্যাগের ফলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে কি না।”
নড়াইলে তাঁর বাসভবনে আগুন শুধু বাড়িই ধ্বংস করেনি, ক্রিকেট নিয়ে তাঁর স্মারকের প্রায় সবটুকুই পুড়ে গেছে। এরপরও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, “নড়াইলের মানুষের বিরুদ্ধে বিচার চাইব না। হয়তো আমি ভুল করেছি এবং এখন তার পরিণতি ভোগ করছি। এটা বেদনাদায়ক, কিন্তু আমার কোনো রাগ বা বিরক্তি নেই।”
হামলার সময় বাসায় থাকা মাশরাফির বাবা-মা অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যা গেছে তা শেষ। অন্তত আমার বাবা-মা নিরাপদে আছেন।”