কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার তদন্তে বাংলাদেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘ (প্রতীকী ছবি)

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশজুড়ে হওয়া সহিংসতার তদন্তে আগামী সপ্তাহে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাবে জাতিসংঘ।

বৃহস্পতিবার (১৫ অগাস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুক বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ সিদ্ধান্ত জানান।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ।

ফোনালাপের সময় সংকটকালে বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান।

তিনি বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি (সরকারের) এই রূপান্তরকে সফল করবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তারা প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান করবে। তবে আদেশ, বিশদ বিবরণ এবং কীভাবে দলটি সরকারের সঙ্গে কাজ করবে- এই সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।”

সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মাঝে মধ্যেই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ সনদে নিরাপত্তা পরিষদকে তদন্ত ও মধ্যস্থতা, মিশন প্রেরণ, বিশেষ দূত নিয়োগ বা মহাসচিবকে তার অফিস ব্যবহারের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে (৫ অগাস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপরই মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে ৮ অগাস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।