রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি

ইউক্রেনের সাঁজোয়া যান রাশিয়া সীমান্তের দিক থেকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে যাচ্ছে। ১৩ আগস্ট, ২০২৪।

ইউক্রেনের বোমাবর্ষণের পর রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর বুধবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ বলেন, বেলগোরোদ অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। এতে বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক পর্যায়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। এরপর সরকারি কমিশনকে ফেডারেল জরুরি অবস্থা ঘোষণার অনুরোধ জানানো হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, পার্শ্ববর্তী কুরস্ক অঞ্চলে মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় বাহিনী ৭৪টি বসতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

ইউক্রেনের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, গত ছয় থেকে আট দিন ধরে ইউক্রেনে পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর পর তাকে ব্রিফ করা হচ্ছে।

তিনি এই অভিযান সম্পর্কে বলেন, “এটি পুতিনের জন্য সত্যিকারের দ্বিধা তৈরি করছে।” এই অভিযান রুশদের অবাক করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন জানায়, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে দখল করা এলাকাটি দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখার তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তবে এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাদের উপস্থিতি পূর্ব ইউক্রেনের সামনের যুদ্ধ লাইনে আরও সেনা স্থানান্তর করার মস্কোর প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে।

প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি বলেন, “এটি জোর দিয়ে বলা যায় যে, কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান ফ্রন্ট লাইনকে সহায়তা করে কারণ এটি রাশিয়াকে ডনেটস্ক অঞ্চলে অতিরিক্ত ইউনিট স্থানান্তর করতে দেয় না- তাদের সামরিক রসদ সরবরাহকে জটিল করে তোলে।”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার মাটিতে বিদেশি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা চালালো ইউক্রেনীয় বাহিনী। রাশিয়া মঙ্গলবার জানায়, তারা কুরস্কে নতুন হামলা প্রতিহত করেছে, তবে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ভয়েস অফ আমেরিকার কিম লুইস এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।